কানাডার মন্ত্রিসভার দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে, অর্থাৎ অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এবং আবাসনমন্ত্রী শন ফ্রেশার পদত্যাগ করেছে। এতে করে রাজনৈতিকভাবে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, দেশটিতে কমেছে ট্রুডোর প্রতি জনসমর্থন, নিজ দলেও বেড়েছে তাঁর বিরোধিতা। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি জানায়, জান্টিন ট্রুডোর জনসমর্থন হ্রাস ও দলীয় মতবিরোধের মাঝে আর্থিক ঘাটতি দেখা দিয়েছে কানাডায়। এমন পরিস্থিতিতে ট্রুডোর সাথে মতবিরোধ দেখা দেয়ায় গতকাল সোমবার আকস্মিক অর্থমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে প্রকাশ করা পদত্যাগপত্রে ফ্রিল্যান্ড, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির জেরে ট্রুডোর সাথে তার মতবিরোধ উল্লেখ করেন। এছাড়া ট্রাম্পের ‘আক্রমণাত্মক অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ’ নীতির জেরে সৃষ্ট হুমকি মোকাবিলায় ট্রুডো ‘ব্যয়বহুল রাজনৈতিক কৌশল’ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
যদিও দ্রুত সময়ের মধ্যেই নতুন অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত করেছে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। কিন্তু জাস্টিন ট্রুডোর নিজের দল ও বিরোধী দল তাঁর পদত্যাগ চাইছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুল্ক কানাডার অর্থনীতিতে বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে।
কানাডার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি, বাড়ি ভাড়াসহ জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাওয়া, কানাডার সরকারের পদক্ষেপে একের পর এক ক্রমাগত নতুন অভিবাসীর আগমনের ফলে ট্রুডো সরকার ইতোমধ্যেই সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।
এতকিছুর পরও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন- তিনি কোথাও যাচ্ছেন না। সামনে অনেক কাজ। ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।