ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এক দিনের মাথায় জামিন পেয়েছেন নায়িকা পরীমণি। আজ (সোমবার) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন সকালে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন পরীমণি। তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী জামিনের জন্য আবেদন করেন এবং আদালত তা মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়ার পর পরীমণি সাংবাদিকদের বলেন, "আপনারা সবাই তো জানেন, আমি একটা মামলা করেছিলাম। তার আড়াই বছর পর তিনি (নাসির) আবার এক মামলা করেন। আমি বিশ্বাস করি, আমি সঠিক বিচার পাবো।"
তিনি আরও বলেন, "এটা পরিষ্কার যে আমি একটা মামলা করলাম, তার আড়াই বছর পরে একটা মামলা করা হল শুধু আমাকে দামানোর জন্য।" পরীমণি চলে যেতে চাইলে উপস্থিত জনতার ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে সবার উদ্দেশ্যে বলেন, "নেন নেন বেশি করে নেন, আপনাদের আজ খুশি করে যাব।"
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, মামলার চার্জগঠন শুনানির দিন পরীমণির হাজিরার জন্য আদেশ দেন। তবে তিনি হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০২০ সালের ৬ জুলাই নাসির উদ্দিন মাহমুদ এই হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলায় পরীমণি, ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি সহ আরও কিছু সহযোগী আসামি হন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর সাভারের বোট ক্লাবে নাসির উদ্দিনের সঙ্গে পরীমণির বচসা ঘটে এবং একপর্যায়ে পরীমণি তাকে আঘাত করেন।
২০২১ সালের ১৪ জুন পরীমনি ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির বিরুদ্ধে মামলা করেন, এবং পরীমনির বিরুদ্ধেও মাদক মামলা হয়।