সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য সুশান্ত দাস গুপ্তের ব্যক্তিগত পেজ থেকে আট সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, পবিত্র কাবাঘরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছেন এক যুবক। অবশেষে যুবকের পরিচয় জানা গেছে। ওই যুবকের নাম হারুনুর রশিদ। তার বাড়ি ঠাকুরদিঘী এলাকায়, ১নং ওয়ার্ড, পদুয়া ইউনিয়ন, লোহাগাড়া উপজেলা, চট্টগ্রামে। তিনি টোকাই হারুন নামেই বেশি পরিচিত।
স্থানীয়দের ধারণা, ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করার পর ঘটনাটি ঘটেছে।
হারুনুর রশিদ গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ঠাকুরদিঘী এলাকায়। হারুনের বাবার নাম আবদুস শুক্কুর। কাবা শরীফে তার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়া নিয়ে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
জানা যায়, হারুনের বয়স প্রায় ৩৫ বছর। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন জীবনে স্কুলে না যাওয়া হারুন। ঠাকুরদিঘী বাজার এলাকায় গঠন করেন কিশোর গ্যাং। বাগান দখল থেকে অবৈধ বালি ও মাটি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। তার বাহিনী নিয়ে হামলা ও সংঘর্ষের জড়াতেন তিনি। ঠাকুরদিঘী, পদুয়া বাজার ও লোহাগাড়া উপজেলা এলাকার দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায় করতেন হারুন বাহিনী।
আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং ও মারামারিতে সক্রিয় ছিল হারুন বাহিনী। তার ভীতিকর ছুটোছুটিতে অতিষ্ঠ ছিলেন এলাকাবাসী। একপর্যায়ে তিনি সৌদি আরবে পাড়ি জমান। সেখানেও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন তিনি।
সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক এমপি আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীসহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে ফেসবুকে তার একান্ত মুহূর্তের ছবি রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ছাত্রলীগ নেতা হারুন দুর্ধর্ষ ক্যাডার ছিলেন। সাতকানিয়া-লোহাগাড়া এলাকায় মারামারি করতেন তিনি। চাঁদাবাজ হারুন পবিত্র কাবা শরীফে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। তার পাসপোর্ট বাতিল করে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।