আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত বাণিজ্য প্রদর্শনী বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর ১৭তম আসর শেষ হয়েছে। রাজধানীর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে ৪ ও ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ দুই দিনব্যাপী এই আয়োজন করেন। মেলা সকাল ১১টায় শুরু হয়ে চলে রাত ৮ পর্যন্ত।
মেলাতে এসেছেন দেশি-বিদেশি দর্শনাথী ও বায়াররা। মান ও প্রকার যাচাই করে দেখছেন জলবায়ু ও পরিবেশ রক্ষা করবে এমন পণ্য। দিয়েছে গুরুত্বও। তবে মেলার প্রথম দিনে দর্শনাথীদের সাড়া কমের পাশাপাশি বড় অনেক প্রতিষ্ঠান ও সরবারহকারী অংশগ্রহণ করেনি।
প্রদর্শনীর ১ম দিন
ডেনিম কাপড় উপাদনকারী ছাড়াও এবার প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে নন-ডেনিম পোশাক,ওয়াশিং, এক্সোসেরিসসহ সরবারহকারী প্রতিষ্ঠান।
এবারের প্রদর্শনীর প্রতিপাদ্য ছিল দ্য ব্লু নিউ ওয়ার্ল্ড। এতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীন, তুরস্ক, স্পেন, ইতালিসহ ৭টি দেশের ৫৬টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রদর্শকরা তাদের ডেনিম পণ্য, কাপড়, আনুষাঙ্গিক, রাসায়নিক এবং প্রযুক্তি প্রদর্শন করেছেন।
দর্শনাধীরা জানান,নতুন নতুন অনেক এক্সক্লোসিভ আইটেম যুক্ত হয়েছে। স্টলের সংখ্যাও বেড়েছে। যেগুলো এর আগের এক্সপোতে দেখিনি। এবারের এক্সপোর সব থেকে ভাল দিক ক্রেতা-বিক্রেতা এবং সাধারণ সবাই টেকসই উন্নয়নের জোর দিয়েছে। জলবায়ূর বিরুপ প্রভাব থেকে বাঁচতে রিসাইক্লেনিং জোর দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
ক্রেতারা জানান, নতুন নতুন কালেকশন আমরা বায়ারের কাছে রিপ্রেজেন্ট করছি। আশা করি এটা নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
তবে আয়োজনের ১ম দিন দর্শনাথী ও বায়ারের সংখ্যা ছিল কম।
দর্শনাথী ও বায়ারের সংখ্যা বাড়বে আশা রেখে ডেকো এক্সোসেরিসের এমডি জানান, শুরু প্রথম প্রহরে ক্রেতা-দর্শনাথীরা সংখ্যা কম থাকলেও অনেকে যোগাযোগ করেছে । তারা মেলায় আসবে বলে যোগাযোগ করেছে। যেহেতু বিদেশি অনেক ক্রেতারা এসেছে। আশা করছি ভালো কিছু হবে।
বাংলাদেশ ডেনিমে ইতিমধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ দেশ হয়ে উঠেছে এবং রপ্তানির ক্ষেত্রেও ভালো করছে। বাংলাদেশের গত কয়েক সপ্তাহের উদ্ভূত পরিস্থিতি ও পোশাক খাতের অস্থিরতার কারণে কিছুটা ধাক্কা অব্যশই লেগেছে। তবে অনেক ইউরোপের ক্রেতারা এসেছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিদিন দেড় লাখের বেশি ডেনিম ট্রাউজার উৎপাদনকারী প্যাসিফিক জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এম তানভীর বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ইইউর শর্ত পূরণ ও ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে হবে বিধায় পোশাক খাতের সামগ্রিক রপ্তানি বড় চ্যালেঞ্জে আছে। প্রকৃতি ও সবুজ বাঁচানোর একটা প্রচেষ্টা চালানো। সেই কারখানাগুলো সবুজায়নে অনেকাংশে এগিয়ে গেছে দেশ।
আম্মান বাংলাদেশের টেকনিক্যাল সার্ভিস ম্যানেজার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন পারভেজ বলেন, তৈরি পোশাকের বিদেশি ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো দেশের শিল্পকারখানায় সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ তারা সময়মতো পণ্য হাতে চায়। সেই সাথে সবুজ ও প্রকৃতি বাঁচানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
তুরস্কের ডেনিম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বোসার প্রতিনিধি ইলমাজ ডেমির বলেন, ডেনিমের চাহিদা কমে যাওয়া সাময়িক। মূল্যস্ফীতির চাপ কমে আসায় ব্যবসা বাড়বে।
করাচির নাভিনা গ্রুপের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মনসুর বিলাল বলেন, দাম ও মানের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে আছে।
নয়জি জিন্সের চেয়ারম্যান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মনিশ চৌহান বলেন, দাম ও মানের কারণে বাংলাদেশ অগ্রগণ্য। গত ২০ বছর ধরে বাংলাদেশে ব্যবসায় যুক্ত রয়েছি। দুই কারখানায় বছরে ৮০ মিলিয়ন ডলারের ডেনিম পণ্য রপ্তানি করছে।
প্রর্দশনীর মধ্যভাগে আয়োজকরা বুফে লাঞ্চ ব্যবস্থা রাখেন। দেশি-বিদেশি বায়ার ও মেলায় অংশ নেয়া সংশ্লিষ্টদের জন্য। বিভিন্ন দেশের ভিন্ন সংস্কৃতির সবাই মিলে একসাথে বসে লাঞ্চ সারেন। এটি দেখতে এক চমৎকার দৃশ্যের অবতরণ হয়। সাদা চামড়াদের সাথে মিশে গেছে একঝাঁক বাঙালিরাও।
এবারের এক্সপোতে দুটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি ১ম দিন শেষভাগে রাখা হয়। আলোচনার প্রতিপাদ্য ছিল বাংলাদেশ পোশাক শিল্পকে সুরক্ষিত করা : আমরা কীভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব'।
আলোচকরা ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি কম মূল্যের পোশাক উত্পাদন কেন্দ্র থেকে উচ্চ মানের ও টেকসই পোশাক উত্পাদনের কেন্দ্র হিসাবে রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় কৌশলগক গত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।
পাশাপাশি আধুনিক উত্পাদন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ডিজিটাল কৌশলসমূহের মাধ্যমে এ শিল্পে উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া ওপর জোর দেন। যাতে শিল্পটি বৈশ্বিক বাজারের পরিবর্তিত চাহিদাগুলো পূরণ করতে সক্ষম হয়।
আলোচনায় সুইডিশ রিটেইল জায়ান্ট এইচঅ্যান্ডএম'র রিজিওনাল কান্ট্রি ম্যানেজার, প্রোডাকশন (বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইথিওপিয়া) জিয়াউর রহমান বলেন, 'শ্রমিকদের দাবি বা অভিযোগ থাকতে পারে। কিন্তু অশান্তি করা যাবে না। সম্মিলিত আলোচনা দরকার। ভাঙচুর করে কেউ জিতবে না। সরবরাহ ব্যবস্থার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রয়োজন।'
'স্বচ্ছতাই মূল চাবিকাঠি। সরবরাহ ব্যবস্থা হতে হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা ছাড়া আর কেউ আমাদের নজরদারি করবে না। নিজেদের দায়িত্ব নিজেদেরকেই নিতে হবে।'
জনগণ ও তাদের উন্নয়নে আরও বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, 'প্রযুক্তিকে গ্রহণ করুন। এ দেশে উদ্ভাবন ও গবেষণার অভাব আছে।'
তিনি বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়াতে আরও নতুন ধাঁচের পণ্য উৎপাদনের পরামর্শ দিয়েছেন। এর আনুমানিক মূল্য প্রায় এক দশমিক আট ট্রিলিয়ন ডলার।
ডেনিম এক্সপোর আয়োজক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, 'আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর কাছে ভালো দাম চাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি করতে হবে, যাতে বাংলাদেশের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা বজায় থাকে।'
এক্সপোর আয়োজকরা জানান, এ বছর ভিসা না পাওয়ায় অনেকে আসতে পারেননি। তারপরও ১৮ দেশের ৫৬ প্রতিষ্ঠান দুই দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে।
২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ডেনিমের বাজার ৭৬.১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার অংশীদারিত্ব বাড়াতে বিদেশি ক্রেতা-বিক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে আয়োজন করা হয় ডেনিম মেলার।
২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ ইউরোপের দেশগুলোতে ডেনিম রপ্তানিতে শীর্ষে। এ অঞ্চলে প্রতি তিন জনের একজন বাংলাদেশে উৎপাদিত ডেনিমের প্যান্ট ব্যবহার করেন।
দিনদিন চাহিদা বাড়ায় বিশ্ববাজারে সাড়ে ৬৪ বিলিয়ন ডলারের ডেনিমের আধিপত্য। যেখানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বাড়াতে ইতোমধ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ এখাতে। বর্তমানে দেশীয় রপ্তানিকারকরা পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বেশি ডেনিম পণ্য সরবরাহ করছেন।
২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ডেনিমের বাজার ৭৬ দশমিক এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে ধারণা করছে বিশেষজ্ঞরা। এটি বছরে চার দশমিক আট শতাংশ হারে বাড়বে। আর তাই বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রতি বছর ডেনিম মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিন
যথারীতি বেলা ১১ টায় শুরু হয় এক্সপোর দ্বিতীয় দিন। ১ম দিনের থেকে দ্বিতীয় দিন জমজমাট ছিল পরিবেশ। দর্শনাথী, বায়ারের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে স্টলগুলো।
এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে ডেনিম শিল্পের গোটা সাপ্লাই চেইনকে এক ছাতার নিচে আসার সুযোগ করে দিয়েছে। শিল্পের আধুনিক প্রযুক্তি, টেকসই উপাদান এবং উদ্ভাবনী ডিজাইনের ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা লাভের সুযোগ পাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে দ্বিতীয় দিনের মূল আকর্ষণ ছিল প্যানেল আলোচনা।
প্যানেল আলোচনা
জিএসপি+ এবং এলডিসি উত্তরণের প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে তৈরি পোশাকশিল্পের প্রস্তুতি' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। এতে ২০২৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের গুরুত্ব এবং বাজারে প্রবেশাধিকার বজায় রাখার জন্য জিএসপি+ নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক), বলেন, "অনেকে বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশ সব প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হবে। কিন্তু অনেক কিছু চ্যালেঞ্জ আছে আমি মনে করি। স্বাধীনতা, অন্তর্ভুক্তি এবং স্বচ্ছতা কিভাবে বজায় রাখা যায় তার একটি প্রস্তাবনা জরুরি।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি খুব আশাবাদী যে বাংলাদেশ আরএমজি শিল্পের সাফল্যের গল্প অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুত। এখনই সময় আমাদের পুনর্গঠন করতে হবে। আসছে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রণোদনাসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে ভাবতে হবে। আগামীর চ্যালেঞ্জ কিভাবে উত্তরানো যাবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সাপোর্ট ফর সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রজেক্ট (এসএসজিপি) এর কম্পোনেন্ট ম্যানেজার ডঃ মোস্তফা আবিদ খান বলেন, আমরা পোশাক খাতের উপর অত্যধিক নির্ভরশীল এবং এটি বাংলাদেশে কার্যকরভাবে বিকাশ লাভ করছে।
"ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য, বাংলাদেশ একটি সাফল্যের গল্প। ইইউ বিডিতে জিএসপি+ অব্যাহত অ্যাক্সেস প্রদানে খুবই আগ্রহী। বিডিকে ইইউ কর্তৃক নির্ধারিত যথাযথ পরিশ্রম মেনে চলতে হবে।
প্রথম কাউন্সেলর এবং দলনেতা, গ্রিন ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট, ডেলিগেশন অফ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশে এডউইন কোয়েককোয়েক বলেন, টেকসইতার ক্ষেত্রে, যথাযথ পরিশ্রম একটি মূল উপাদান। বাংলাদেশে আমরা শ্রম অধিকার এবং পরিবেশগত মান নিয়ে অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের ডিকার্বনাইজেশন একটি অগ্রাধিকার হবে।
শিন শিন গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল সাদাত বলেন, উৎপাদনের টেকসইতা ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে। আমাদের শ্রমের অবস্থার উন্নতিতে আরও বড় সুযোগ রয়েছে এবং এটিকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে আসতে হবে। আমি মনে করি, সকল স্টেকহোল্ডারের মধ্যে, শ্রমের অবস্থা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে হবে এবং কর্মীবাহিনীকে শিক্ষিত করতে হবে।
বাংলাদেশে ডেনমার্কের দূতাবাসের সেক্টর কাউন্সেলর ওলে রোজেনবর্গ জাস্টেসেন বলেন, বাংলাদেশের সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে আমি তিনটি ক্ষেত্রে ফোকাস করব। সেগুলো হল শ্রম অধিকার, শ্রম আইন এবং পরিদর্শন এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে বিনিয়োগ। শ্রম পরিদর্শন একেবারেই। কারখানার কাজের অবস্থার উন্নতির ক্ষেত্রে আমাদেরকে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিবেচনা না করে পুরো অবকাঠামোতে বিনিয়োগের কথা বলতে হবে।
জিয়াউর রহমান, আঞ্চলিক কান্ট্রি ম্যানেজার, প্রোডাকশন (বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ইথিওপিয়া), এইচএন্ডএম বলেন, "এই শিল্পটি চার দশকের পুরনো শিল্প। শ্রম আইনের দিক থেকে আমাদের সাপ্লাই চেইন অনেক পিছিয়ে। সচেতনতার মাত্রা অনেক কম। যথাযথ অধ্যবসায় আইনের পরিপ্রেক্ষিতে, অনেক সরবরাহকারী এটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন নন এবং আমি মনে করি আমাদের কাছে মৌলিক রেসিপি রয়েছে এবং আমাদের সেখান থেকে শুরু করতে হবে।