প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনে ২০২৫ সালের বাও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য চীনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তবে এই সম্মেলন ২৫-২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে, যা প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের সম্ভাবনা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
সফরের মধ্যে আলোচনা সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন চীনে সফর শেষে দেশে ফিরে এলেও, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের চীন সফরের ব্যাপারে কোনো সরাসরি আলোচনা হয়নি। তবে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে যে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার চীন সফরে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং চীনকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই সফরের জন্য কিছু অনিশ্চয়তার বিষয় জানানো হয়েছে।
চীনের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসকে বিএফএ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং উড়োজাহাজ পাঠানোর আগ্রহও প্রকাশ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন থাকায়, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই কারণে, ঢাকা চীনে সফরের সম্ভাবনা সম্পর্কে বেইজিংকে জানিয়েছে, এবং বলা হয়েছে যে, এই সময়সূচি চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা চীনের বিএফএ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে না পারলে, তিনি ভবিষ্যতে সুবিধাজনক সময়ে চীন সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চীন সফরে ড. ইউনূস বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে, ২০-২৪ জানুয়ারি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন চীনে সফর করেন এবং চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর, চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, বাংলাদেশ চীনের প্রতিবেশী কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে স্থান পেয়েছে এবং তারা বাংলাদেশকে সুপ্রতিবেশী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি অবলম্বন করে চলবে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের চীন সফরের বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত, তবে চীন সফরের জন্য উন্মুক্ত থাকা এবং ভবিষ্যতে ভালো সম্পর্ক তৈরি করার জন্য বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।