টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে সাদপন্থী মুসল্লীর মৃত্যু

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. মিজানুর রহমান (৪২) নামে সাদপন্থী এক মুসল্লী মারা গেছেন। তিনি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ছবির উদ্দীন প্রামাণিকের ছেলে।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, মিজানুর রহমান ছিলেন তাবলীগ জামাতের সাদ অনুসারীদের একজন সক্রিয় সদস্য এবং ফুলবাড়ি থানার জিম্মাদার সাথী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর দীর্ঘ এক মাস ১২ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
পূর্ব সংঘর্ষে নিহত ও আহতের ঘটনা:
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর ভোরে সাদপন্থীদের ৫ দিনের জোড় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন মো. বেলালসহ আরও দুই সাথী।
সাদপন্থীদের দাবি:
মিজানুর রহমানের মৃত্যুতে তার পরিবার ও সাথীদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাদপন্থীরা এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
তারা অভিযোগ করেন, "বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য বারবার আবেদন করা হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি মো. বেলাল হোসেনের হত্যাকাণ্ডের মামলা করতে গেলে আমাদের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি। উল্টো জুবায়েরপন্থীরা আমাদের মুরুব্বিদের নামে হত্যা মামলা করেছে। প্রশাসনের এমন বৈষম্যমূলক আচরণে আমরা হতাশ ও মর্মাহত।"
সাদ অনুসারীরা এই হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য দাবি:
- সাদপন্থীদের অভিযোগ গ্রহণে প্রশাসনের অনীহা।
- সংঘর্ষে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার দাবি।
- পূর্বের হত্যাকাণ্ডগুলোর জন্য ন্যায়বিচারের দাবি।
মিজানুর রহমানের মৃত্যুতে টঙ্গীর ইজতেমা সংশ্লিষ্ট এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।