দেশে বাড়ছে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী, ২০৫০ সালে হতে পারে দ্বিগুণ
বাংলাদেশে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই সংখ্যা ২০৫০ সালে দ্বিগুণ হতে পারে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে। ১৮৫টি দেশ এবং ৩৬ ধরনের ক্যানসারের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৫৬ জন। এতে মারা গেছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৫৯৮ জন। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৫ বছরে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৭ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে খাদ্যনালী, ঠোঁট, মুখের গহ্বর ও ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০৫০ সালে বিশ্বে নতুন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৫০ লাখে পৌঁছাবে, যা ২০২২ সালের সংখ্যার তুলনায় প্রায় ৭৭ শতাংশ বেশি। বিশ্বে প্রায় প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন ক্যানসারে আক্রান্ত। এর মধ্যে ৯ জন পুরুষের মধ্যে একজন এবং ১২ জন নারীর মধ্যে একজন এই রোগে মারা যাচ্ছেন।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (আইএআরসি) দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। গবেষণায় তামাক, অ্যালকোহল, স্থূলতা ও বায়ুদূষণকে বিশ্বব্যাপী ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ৯৭ লাখ মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে ১৮ লাখ মানুষ মারা গেছেন ফুসফুস ক্যানসারে, কোলোরেক্টাল ক্যানসারে ৯ লাখ, লিভার ক্যানসারে ৭ লাখ ৬০ হাজার, স্তন ক্যানসারে ৬ লাখ ৭০ হাজার এবং পাকস্থলী ক্যানসারে মারা গেছেন ৬ লাখ ৬০ হাজার মানুষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ফুসফুস ক্যানসারে। এতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ লাখ মানুষ। এ ছাড়া ২৩ লাখ স্তন ক্যানসার, ১৯ লাখ কোলোরেক্টাল ক্যানসার, ১৫ লাখ প্রোস্টেট, এবং ৯ লাখ ৭০ হাজার মানুষ পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। বাকিরা অন্যান্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন।