সব জমিদারের বাচ্চা
সরকারি অফিস চলে জনগণের ট্যাক্সের পয়সায়। জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় সরকারি কর্মচারীরা কী করছেন, জনগণকে কী সেবা দিচ্ছেন, কোন তরিকায় দিচ্ছেন, কী কী দুই নম্বরি করছেন- সেগুলো মানুষকে জানানোর দায়িত্ব সাংবাদিকদের। সুতরাং সরকারি অফিসে প্রবেশে, সেটি হোক জেলা প্রশাসকের দপ্তর, হোক সরকারি হাসপাতাল কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংক- সেখানে প্রবেশে সাংবাদিককে বিশেষ অনুমতি কিংবা পাস নিতে হবে কেন?
অফিসিয়াল সিক্রেসি আইনের দোহাই এবং তথ্য অধিকার আইনের অপব্যবহার করে তথ্য গোপন করা বা তথ্য না দেয়ার যে ‘কালচার’ তারা শুরু করেছেন, সেটি স্পষ্টত নাগরিক অধিকারের লঙ্ঘন এবং সরকারি চাকরি বিষয়ে যে সাংবিধানিক বিধান, তার স্পষ্ট খেলাপ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আরেকটা উৎপাত শুরু হয়েছে, সেটি হলো, কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে ফোন করে কোনো তথ্য চাইলে দিতে চান না। বলেন অমুকের সাথে কথা বলেন। অমুক বলেন তমুকের সাথে কথা বলেন। টেলিভিশনে টকশোতে আমন্ত্রণ জানালেও আসতে চান না। বলেন অমুকের অনুমতি লাগবে। সেই অমুককে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেন না। তাদের পিএসরা আরও বেশি ক্ষমতাবান। অনেক পিএস-এর কথার টোনে মনে হয়, তিনি মন্ত্রীর চেয়েও বেশি পাওয়ারফুল। তাদের ভাবখানা এমন যে, সাংবাদিক তার কাছে তথ্য চেয়ে কিংবা তাকে কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিরাট অপরাধ করে ফেলেছেন।
ওনারা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে বসে জনগণের টাকার নয়ছয় করবেন; শত শত কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাঠাবেন; জনগণের পয়সা মেরে সেই পয়সায় সন্তানদের বিদেশে পড়াবেন; দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজাবেন- অথচ তথ্য চাইলে বলবেন অনুমতি নিয়ে আসুন। ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করুন।...