বিশ্বকাপ উন্মাদনায় মেতেছে ওরাও

  জান্নাতীন নাঈম জীবন
  প্রকাশিতঃ রাত ০২:১৫, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ওয়াকিল তামিম, সাদাত জামান বিধান, সানজিদা ইসলাম ঊষা, মেহেরীন বিনতে খান মিথিলা, সেমালে জান্নাত অনন্যা
ওয়াকিল তামিম, সাদাত জামান বিধান, সানজিদা ইসলাম ঊষা, মেহেরীন বিনতে খান মিথিলা, সেমালে জান্নাত অনন্যা

মতামত দিয়েছেন: ফিশারিজ অনুষদের ফাহিম ওয়াকিল তামিম, নিউট্রিশন এন্ড ফুড সায়েন্স অনুষদের সাদাত জামান বিধান, সানজিদা ইসলাম ঊষা, কৃষি অনুষদের মেহেরীন বিনতে খান মিথিলা, সেমালে জান্নাত অনন্যা

ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ।শিশু থেকে বৃদ্ধ, যুবক-যুবতী,ছাত্র-ছাত্রী কারো বিশ্বকাপ  নিয়ে উন্মাদনার কমতি নেই। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরাও সেই উন্মাদনার বাইরে নেই। পবিপ্রবিয়ানদের বিশ্বকাপের সেই উন্মাদনার গল্পই তুলে ধরেছেন পবিপ্রবি প্রতিনিধি জান্নাতীন নাঈম জীবন-


বাংলাদেশ কে সাপোর্ট দিতে সবসময় প্রস্তুত

ক্রিকেট একটা আবেগ যা আমাদের রক্তে মিশে গেছে। ক্রিকেট শব্দটার সাথে উঠে আসে আমার দেশের নাম। হাজারো কষ্ট,ক্ষোভ, মান-অভিমান জন্মে থাকা সত্ত্বেও যখনই বাংলাদেশ মাঠে নামে তখন ই মনের অজান্তেই বলে উঠি সেই চিরচেনা সুর  দেশ দেশ দেশ সাবাশ বাংলাদেশ, যাও এগিয়ে আমার বাংলাদেশ।

এবারের বিশ্বকাপে ২০ দল অংগ্রহন করেছে যার মধ্যে উগান্ডা, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই একটি শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়েছে। বিষয়টি অবাক করার মতো ছিলো সাথে উপভোগযোগ্য ও ছিলো। আমার কাছে মনে হয় এরকম অঘটন না ঘটলে টুর্নামেন্ট আসলে জমে না। 
আমাদের জন্য খুশির সংবাদ বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়ে সুপার-৮ এ যাওয়ার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে। এই জয়ে দেশের প্রতিটি মানুষ ই খুশি।তবে গতকাল খুবই হতাশ হয়েছি ।  বাংলাদেশকে সাপোর্ট দিতে আমরা সবসময় প্রস্তুত।ম্যাচে হৃদয়,মোস্তাফিজ, তানজিম সাকিব,রিশাদ এবং তাসকিনরা ভালো চেষ্টা করছে তবে সাকিব, সৌম্য, শান্ত,লিটনদের আরও একটু মনযোগী হওয়া দরকার বলে আমার মনে হয়। তাহলেই হয়তো ভালো একটা কিছুর আশা আমরা রাখতে পারি। যাইহোক, আর যা কিছুই ঘটুক আমার দেশের জন্য শুভকামনা সবসময় থাকবে।

সানজিদা ইসলাম ঊষা, নিউট্রিশন এন্ড ফুড সায়েন্স অনুষদ


খেলাটা উপভোগ্য হোক

বিশ্বকাপে প্রতিটি দলের কাছে চাইব দুর্দান্ত কিছু ম্যাচ। সেটা বাংলাদেশ হোক, ভারত হোক আর পাকিস্তান। যারাই জেতে যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জেতে। বাংলাদেশ দলে আমার বেশ কয়েকজন প্রিয় খেলোয়াড় আছেন। বিশেষ করে বলব  তাওহিদ রিদয়, মাহমুদউল্লাহ ,সাকিব আল হাসানের কথা। বাংলাদেশ দলের কাছে খুব বেশি প্রত্যাশা করাটা মুশকিল। তারা এমন সব ম্যাচ হারে যে মন ভেঙে যায়। তবু নিজের দেশ, স্বপ্ন দেখতে তো ইচ্ছা করেই। এখনো স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশই কাপ নেবে। না হলে অন্তত এশিয়ার কোনো দেশ কাপ নিক।তবে খেলাটা উপভোগ্য হোক—এটাই চাওয়া।

ফাহিম ওয়াকিল তামিম, ফিশারিজ অনুষদ

একটা নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হবো

এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ আমার কাছে একটু অন্যরকম। কারণ, প্রতিবার পরিচিত দলগুলোই ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে থাকে এতে ক্রিকেট বিশ্বকাপ কতটা বৈশ্বিক সেই নিয়ে মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন উঠত।  কিন্তু, এখন এই বিশ্বকাপে ২০ টি দল অংশগ্রহণ করাতে এর উম্মাদনা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মদ্ধে উল্লেখযোগ্য  উগান্ডা, পাপুয়া নিউগিনি, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইতিমদ্ধেই নতুন দলগুলো চমক দেখানো শুরু করছে।  তো আশা করি, আমরা একটা নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হবো।বরাবরের মতই বাংলাদেশের জন্য অনেক দোয়া ও শুভকামনা।

সাদাত জামান বিধান, নিউট্রিশন এন্ড ফুড সায়েন্স অনুষদ


হারলেও যেন লড়াই করে হারে

ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশীদের  ইমোশন ছিলো একটা সময়। বাংলাদেশ দল উত্থান আর পতনের মধ্যে দিয়েই যেতো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিং অর্ডারের যেই বেহাল অবস্থা তাতে মানুষ ক্রিকেট বিমুখ হচ্ছে।  একটা সময় ছিলো যখন বাংলাদেশ দল বলতেই মাশরাফি, তামিম, মুশফি, সাকিব, মাহমুদউল্লাহদের চিনতাম। আমাদের ছোটো বেলার সে জেনারেশনের সময় ফুরিয়ে গিয়েছে।  এখন নতুন প্রজন্ম নতুন ক্রিকেটারদের চিনছে। সুতরাং নতুনদের মাঝেই গুরুদায়িত্ব এই ক্রিকেটকে  বাঙালির অন্তরে নিবেশিত রাখার। একজন ক্রিকেট  প্রেমি হিসেবে চাই, বাংলাদেশ যেন ভালো খেলে। বলিং এর পাশাপাশি ব্যাটিং বিশেষ করে ওপেনিংটা স্ট্রং করুক। সকলের উচিত নিজের বেস্টটা দেয়া।  অবশ্যই চাই, বাংলাদেশ জিতে যাক। ইতিহাস তৈরি করুক। কিন্তু যদি হারে ও তাও যেন লড়াই করেই হারে।

-মেহেরীন বিনতে খান মিথিলা, কৃষি অনুষদ

বাংলাদেশ দল হার্টবিট নিয়ে খেলবে না

এবারের টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ যেন অঘটন দিয়েই শুরু হয়েছে। ছোট ছোট দলগুলো বিগত বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ধরাশায়ী করে ফেলছে নিমিষেই।তাই এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা যেন একটু ভিন্ন রকমের, আনপ্রেডিক্টেবল। বাংলাদেশ টিমে পছন্দের কিছু প্লেয়ার না থাকায় শুরু থেকেই কিছুটা হতাশ ছিলাম, কিন্তু গত ম্যাচে লঙ্কানদের হারানোর পর কিছুটা স্বস্তি ফিরে পাই,কিন্তু গতকাল যা হলো। সুপার এইট মোটামুটি নিশ্চিত মনে হচ্ছে যদি না নেদারল্যান্ডস কোনো অঘটন ঘটায়।আশা থাকবে বাংলাদেশ দল এবার আমাদের হার্টবিট নিয়ে খেলবে না।মাহমুদুল্লাহ, সাকিব, হৃদয়,রিশাদরা আমাদের ব্যাক টু ব্যাক জয় এনে দেবে।

-সেমালে জান্নাত অনন্যা, কৃষি অনুষদ

Share This Article