সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদানে জনসাধারণের প্রক্রিয়া
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। সারাদেশে এক অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এর মাঝে গঠিত হয় অন্তবর্তীকালীন সরকার। দেশের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে কাজ শুরু করে তারা। তবে আন্দোলনে পুলিশের বির্তকিত উপস্থিতি ও সারা দেশে থানা গুলোতে নজিরবিহীন হামলায় মনোবল ভেঙে যায় বাহিনীটির। আইনশৃঙ্খায় নিয়োজিত হলে রয়েছে ট্রামায়।
এতে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাংচুর লুটপাট ডাকাতি হয়ে চলেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিকে বিভিন্ন পদক্ষেপের পরও দৃশ্যমান উন্নতি লক্ষণীয় ছিল না। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়। এতে অন্তবর্তীকালিন সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানায় সারাদেশের অধিকাংশ জনসাধারণ।
মো : মনি নামের এক যুবক জানায়, দেশের জন্য এটা খুবই জরুরী ছিল। সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইভা মিম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়াতে আমরা খুশি।না হয় দেশের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যেতো।এখন দুইমাসে সেনাবাহিনী দেশকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসে দেশকে সুন্দর ভাবে সাঁজাতে পারবে।
পিনাক দাস বলেন, ঠিক আছে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে সমর্থন করছি। কারন দেশের যে যেমন খুশি আইন হাতে তুলে নিয়ে অপকর্ম করছে। দেশটা মনে হয় মগের মুল্লুকে পরিনত করছে একটা গোষ্ঠী। তাছাড়া বাঙ্গালী শক্তের ভক্ত। একদম ঠাণ্ডা বানিয়ে দিতে হবে। সেনাবাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ আশা করছি।
তবে ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়াও। এ্যামাজনের ডেটা এ্যানালিস্ট শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, আপনারা যারা ভাবতেছেন সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আপনাদেরকে ন্যায় বিচার পাওয়ায় সহায়তা করবে, তাহলে আপনারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “সেনাবাহিনী অনেক দিন ধরেই মাঠে আছে। তাদের একটা ক্ষমতার মধ্যে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের অন্যান্য বাহিনীতে স্বল্পতা রয়ে গেছে। এটা পূরণ করার জন্য সেনাবাহিনী আমরা এনেছি।”