দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
★পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুলিশের অনেক চ্যালেঞ্জ
মামলা নিষ্পত্তিতে অযথা বিলম্ব না করে দ্রুত তা নিষ্পত্তি করারর নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোঃ মাইনুল হাসান। মুলতবী ওয়ারেন্ট তামিলেরও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাজারবাগে পুলিশ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঢাকা মহানগর পুলিশের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব নির্দেশনা দেন তিনি।
এতে ডিএমপির উধ্বর্তন কর্মকর্তারা ছাড়াও ৫০ থানার ওসি, বিভিন্ন ক্রাইম জোনের ডিসি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।পর্যালোচনা সভায় বিগত দুই মাসে রাজধানীতে সংঘটিত নানা অপরাধ বিশ্লেষণ ও এসব ঘটনায় হওয়া মামলাগুলোর তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নানা নির্দেশনা দেন উধ্বর্তন কর্মকর্তারা। গতকালের সভায় আসন্ন দূর্গাপুজার নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বিগত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ বিভিন্ন বিভাগের অফিসার ও ফোর্সদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার নিজ ইউনিটের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা একটি ক্রান্তিকাল পার হয়ে বর্তমান অবস্থায় উপনীত হয়েছি। আর এটি আপনাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে। পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য কী এবং আমরা কীভাবে কাজ করবো সে বিষয়ে উপস্থিত সবার অভিজ্ঞতা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন পুলিশ কমিশনার।
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহের কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে না গেলে ইন্টেলিজেন্স পাওয়া যাবে না। তথ্য পাওয়ার জন্য নাগরিকদের কাছে যেতে হবে ও তাদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে।
ওসিদের উদ্দেশ্যে বলেন, থানার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সমাজে অপরাধ যাতে না হয় তার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, অপরাধের সঠিক কারণ নির্ণয়, অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য তদন্ত ও অনুসন্ধান করা। থানা এলাকার অপরাধের ধরণ বিশ্লেষণ করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রদত্ত নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করাও নির্হদেশনা দেন তিনি।
ওসিদের উদ্অদদেশ্যে অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ বলেন, পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষায় থানার অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে থানা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সফল হবে, সে থানার উপর জনসাধারণের ততবেশি আস্থা তৈরি হবে।
প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করারর আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সকলকে পরিবর্তনের অংশীদার হতে হবে।
অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোঃ ইসরাইল হাওলাদার বলেন, সামনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজা যাতে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারে, সে জন্য এখন থেকেই সবাইকে সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। সিনিয়র অফিসাররা পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করবেন এবং কমিটির লোকজনের সাথে কথা বলবেন। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক পুলিশিংয়ের জন্য আমাদের কাজে গতি বাড়াতে হবে। অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধিনে পুলিশ কাজ করছে। সরকারের নির্দেশ মেনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে।