যেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ছাত্রলীগ

  নিজস্ব প্রতিবেদক
  প্রকাশিতঃ রাত ১১:২৪, বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে সংগঠনটি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের অ্যাসেম্বলি হলে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে সংগঠনটির নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ এবং এই সংগঠনের প্রথম অফিস ছিল ১৫০ মোগলটুলীতে। এই ১৫০ মোগলটুলীই ছিল মুসলিম লীগেরও অফিস। অবিভক্ত পাকিস্তানের সর্বপ্রথম ছাত্র সংগঠন এটি। সাম্প্রদায়িক অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে একই সঙ্গে ছাত্রলীগের নামেও পরিবর্তন আসে, ছাত্রলীগের নাম হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ’।

সংগঠনটির প্রথম আহ্বায়ক ছিলেন নাঈমউদ্দিন আহমেদ। সাংগঠনিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু করলে সভাপতি মনোনীত হন দবিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হন খালেক নেওয়াজ খান। স্বাধীনতার পর দলের নামেও পরিবর্তন আসে। ছাত্র লীগের নাম হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১১ দফা আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্বাধিকার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগ মুজিব বাহিনী গঠন করে এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৭২ সাল থাকে ১৯৭৫ কালপূর্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের সংগ্রামে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল। সামরিক শাসনের মধ্যেও ১৯৮৩ সালে শিক্ষা আন্দোলন ও সর্বদলীয় ছাত্র-ঐক্যের ১০ দফা তৈরিতে নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

পরে বিভিন্ন সময় নিজেদের মধ্যে দলাদলি, অন্তর্কোন্দল, প্রতিপক্ষের ওপর হামলাসহ নানা কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে ছাত্রলীগ। সংগঠনটির বিরুদ্ধে নির্যাতন, চাঁদাবাজি, সহিংসতা, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি ও হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ছাত্রলীগের হামলায় কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ৫০০ জন গুরুতর আহত হয়। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১২৯ জনে। শুধু ২০১৮ সালেই ৩১ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ঢাকা হামলার পর জঙ্গি তল্লাশিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০২১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গেও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ইডেন মহিলা কলেজ শাখার ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি চক্র চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

সর্বশেষ ২০২৪ সালে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্মকাণ্ডের কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্র সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করল।

Share This Article


ছবি- সংগ্রহীত

দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের

ফাইল ফটো

চাচাতো ভাই ও  ভাগনেকে নিয়ে স্বর্ণ আত্মসাৎ আওয়ামী লীগ নেতার

আটক মাদক সরবরাহকারী

পবিপ্রবিতে মাদক সরবরাহকালে তিন মাদকব্যবসায়ীকে পুলিশে হস্তান্তর

সাবেক ভিসি ডা. শারফুদ্দিনের ব্যাংক হিসাব চায় দুদক

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

পুলিশ যেন মানবিক ও জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে ফিরে আসে সে বিষয়ে কাজ চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

তোফাজ্জল

ঢাবিতে নিহত তোফাজ্জলের বাবা-মা ভাই-বোন কেউ নেই

ফাইল ফটো

চোর সন্দেহে মারধরের ঘটনায় ঢাবির ফজলুল হক হলে যুবকের মৃত্যু

গণধোলাইয়ের শিকার জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতার রহস্যজনক মৃত্যু

ফাইল ফটো

সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদানে জনসাধারণের প্রক্রিয়া

ফাইল ফটো

বিচারিক ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী

গুলিবর্ষণকারী দেলোয়ার হোসেন রুবেল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে উত্তরায় গুলিবর্ষণকারী রুবেল গ্রেপ্তার