সাকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে শিশিরের ফেসবুক স্ট্যাটাস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিবর ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এ জন্য অনেকেই সমালোচনা করেছেন তার। তৎকালীন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাকিবকে ভক্তদের তোপের মুখেও পড়তে হয়। এ সময় চুপ ছিলেন তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের বড় তারকা হলেও পুরো আন্দোলনে তার নীরবতায় ক্ষুব্ধ দেশের ক্রিকেট ভক্তরা।
বিগত ৮ মাসে রাজনৈতিক এক পরিচয়ও যুক্ত হয়েছে সাকিবের। সদ্য বিলুপ্ত হওয়া জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন তিনি। একইসঙ্গে করেছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি।
সেই সুবাদে দলের বাকি সব নেতাদের মতো ব্যাকফুটে আছেন তিনিও। এরইমাঝে গতকাল বুধবার রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি ক্লিপ। যেখানে তার সঙ্গে দেখা গিয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কন্যা ও বিপিএলের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামালকে।
এমন ভিডিও ক্লিপ স্বাভাবিকভাবেই নজর এড়ায়নি দেশের ক্রিকেট ভক্তদের। রাতভর চলেছে নানা সমালোচনা। সঙ্গে স্ত্রী উম্মে শিশিরের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জনও চাউর হয়েছে। সেই শঙ্কা অবশ্য বেড়েছে শিশিরের কারণেই। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে অনেক ছবিই ডিলেট করেছেন তিনি।
তবে সকালের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই সাকিবপত্নী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস। যেখানে স্বামী সাকিবের পক্ষেই আছেন তিনি। সঙ্গে জানিয়েছেন সাকিব এক অসাধারণ বাবা এবং স্বামী। জানিয়েছেন তাদের সম্পর্কের বর্তমান অবস্থানের কথাও।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে শিশির লিখেন, ‘আপনার হয়ত তার (সাকিব আল হাসান) ক্যারিয়ার এবং পছন্দ নিয়ে ব্যক্তিগত মতামত থাকতেই পারে, তা আমি অস্বীকার করব না। প্রত্যেকেরই বাক-স্বাধীনতা আছে। কিন্তু দয়া করে এটি আমাদের সম্পর্কের সঙ্গে মেশাবেন না। সে একজন অসাধারণ স্বামী এবং বাবা। সে সবসময়ই আমার প্রতি বিশ্বস্ত ও সৎ ছিল আর এমন কিছু করবে না যা আমাকে আঘাত করে। সে এমন মানুষ, যে আমার পাশে দাঁড়াতে গিয়ে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল।’
তিনি লিখেন, ‘আমি তার বাইরে ঘোরাফেরা নিয়ে সবসময়ই জানি আর বেশিরভাগ সময় তার সঙ্গেই থাকি। ১৩ বছর আগে আমি যে মানুষটির সঙ্গে আলাপ করেছিলে, সে এখনও সেই একই মানুষ আছে। জীবনসঙ্গী হিসেবে সে ১০০ তে ১০০ পাওয়ার মতোই। আর আলহামদুলিল্লাহ আমাদের সুন্দর একটি পরিবার আছে।’
এরপরেই শিশির অনুরোধ জানিয়েছেন অনলাইনে গুঞ্জন না ছড়াতে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবি বা ভিডিও পুরো ঘটনা বর্ণনা করে না। শিশিরের বক্তব্য, ‘যারাই এমন করছেন, তাদের প্রতি আমি বলতে চাই এসব করে আপনি কিছুই অর্জন করতে পারবেন না।’
তিনি আরও লিখেন ‘আমি চুপ থাকতে চাই কারণ সত্যটা আমার ভেতরেই আছে। কিন্তু কিছু অপ্রয়োজনীয় ফোনকল এবং মেসেজের কারণে আমি বিষয়টা পরিষ্কার করতে চেয়েছি। তার এখন পাকিস্তান সিরিজে নজর দেয়ার সময় আর আমি আমার পরিবারের দিকে নজর দেবো। আমরা সবসময়ই টিম হয়ে ছিলাম, আর তেমনই থাকব ইন শা আল্লাহ।’
স্ট্যাটাসের সঙ্গে নিজের পারিবারিক ছবিও যুক্ত করেছেন শিশির। সঙ্গে সংযুক্তি দিয়ে লিখেছেন ছবি মুছে দেয়ার কারণ, ‘আমি আমার কোনো পোস্ট বা ছবি ডিলেট করিনি। কেবল তা প্রাউভেট করে রেখেছি। আর ছবি বা পোস্ট কখনো কোনো সম্পর্ককে বিচার করতে পারে না।’