পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
এ যেনো নতুন এক বাংলাদেশ দল। শেষ কবে লাল বলে এমন ছন্দে থাকা বাংলাদেশকে দেখেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা? ছাত্র জনতার নেতৃত্বে দেশে গণ অভ্যুত্থানের পর অনেকেই এখন ‘দ্বিতীয় বাংলাদেশ’ বলছে।
বাইশগজেও লেগেছে যেন নতুন বাংলাদেশের হাওয়া। পাকিস্তানের বিপক্ষে কখনো টেস্ট জিততে না পারা দলটা পাকিস্তানের বেস্ট বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করার পর বল হাতে পাকিস্তানি ব্যাটার কাঁপন ধরিয়ে দিয়ে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিলো।
শেষ ব্যাটার হিসেবে যখন মোহাম্মদ আলীকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ, পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে তখন ১৪৬ রান। লিড নেয় ২৯ রানের। ৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।
শুধু মুখে বলেই নিজেদের কাজটা এবার শেষ করেননি নাজমুল হোসেন শান্তরা। এবার তা করে দেখিয়েছেন তারা। পাকিস্তানের মাঠে কখনো কোনো ম্যাচ জিততে না পারার দুঃখ ঘুচিয়েছেন তারা।
আজ রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে শান্তর কথাই প্রমাণ করলেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে বিশেষ কিছু করার কথা জানিয়েছিলেন শান্ত।
এতে করে সবমিলিয়ে পাকিস্তানের মাঠে ২১ম্যাচে এসে জয় পেল বাংলাদেশ। সময়ের হিসেবে ২৩ বছর। অধিনায়কের কথা বাস্তবে প্রতিফলিত করতে দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বোলাররা। পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট করে।
প্রতিপক্ষকে অল্প রানে অলআউট করতে বোলিংয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান।
পরে ৩০ রানের লক্ষ্য নিয়ে জয়ের কাজটা সেরেছেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা৷ প্রথম টেস্টে জয়ের আগে প্রথম ইনিংসে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর রহিম- সাদমান ইসলামরা। যার প্রমান প্রথম ইনিংসে ১২৭ রানের লিড। পাকিস্তানের ৪৪৮ রানের বিপরীতে বাংলাদেশ করে ৫৬৫ রান।