জ্বালানি তেলের দাম কমার ইঙ্গিত প্রতিমন্ত্রীর
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চলতি সপ্তাহেই জ্বালানি তেলের নিয়মিত দাম নির্ধারণ শুরু হবে। এখন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে জ্বালানি বিভাগ। রোববার (০৩ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব জানান প্রতিমন্ত্রী।
এসময় জ্বালানি তেলের দাম কমার ইঙ্গিত দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল কিছুটা সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যাচ্ছে। এ মাসে দাম ঘোষণায় কিছুটা সাশ্রয় হবে। প্রতি মাসেই দাম সমন্বয় করা হবে।
এর আগে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি।
দাম কেমন কমতে পারে— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সূত্র অনুসারে যা আসবে, সেটাই নতুন দাম হবে।
এতে কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আগে সংস্থাগুলোকে বলা হতো, বিশ্ববাজারে দাম কমলে কেন কমানো হয় না। এখন বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেছে, নিয়মিত সমন্বয় হবে। দাম যদি বিশ্ববাজারে আবার বাড়ে, তখন ওইভাবে সমন্বয় হবে। আগামী মাসে যদি আরও কমে, দেশেও কমানো হবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রতিদিন জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। অনেক দেশেই বিভিন্ন শহরে আলাদা আলাদা দাম থাকে।
নসরুল হামিদ বলেন, পাশের দেশের জ্বালানি তেলের দামও বিবেচনায় নিতে হবে। কলকাতায় এখন প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ১৩৩ টাকা। আর বাংলাদেশে ১০৯ টাকা। দাম কম হলে তেল পাচারের শঙ্কা থাকে, এটা অবশ্যই চিন্তা করতে হবে। দাম আরও সাশ্রয়ী হলে শঙ্কা আরও বেড়ে যাবে। বিষয়টি অবশ্যই নজরে রাখতে হবে।
জ্বালানি তেলের দাম কমলে পরিবহনভাড়া কমবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের সঙ্গে যেসব খাত জড়িত আছে, তাদেরও সমন্বয় করতে হবে। যেসব সংস্থা তাদের তদারকির দায়িত্বে আছে, তাদেরও বিষয়টি নিয়মের মধ্যে নেওয়া উচিত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো হলে পরিবহনভাড়া ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়। এটা ঠিক নয়। প্রতি মাসে যদি সাশ্রয়ী দামে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়, তাহলে পরিবহনসহ সংশ্লিষ্ট সব খাতেও এটা সমন্বয় করা উচিত।