এতদিন যেখানে ছিলেন সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন

  নিজস্ব প্রতিবেদক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:৪২, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২০ ভাদ্র ১৪৩১

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মুদিদোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

আইজিপির ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গ্রেপ্তারের আগে নিজেই আত্মসমর্পণের ইচ্ছাপোষণ করেছিলেন মামুন। এর আগে, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল।

বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এসব আদেশ দেন।

জানা যায়, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন এতদিন সেনাবাহিনীর হেফাজতে ছিলেন।

আবু সায়েদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মামলায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা শক্ত হাতে ছাত্র–জনতার আন্দোলন দমন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলার আরেক আসামি ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমে আন্দোলন দমনের নির্দেশ দেন।

মামলার ৩ নম্বর আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনসহ অন্যরা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলার ৫ নম্বর আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান পুলিশকে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করার নির্দেশ দেন। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিন চান তার আইনজীবী। আদালত শুনানি নিয়ে তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের গ্রেপ্তারের কথা গতকাল মঙ্গলবার রাতে জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে বলা হয়, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন সেনা হেফাজতে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তিনি সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। রাতে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

এর আগে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এই সরকারে আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। সরকার পতনের পরদিন তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।

Share This Article