সৌদিতে খুন হওয়া ২ বাংলাদেশির পরিবার পেল ৩০ কোটি টাকা
সৌদি আরবে খুনিদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেল ভুক্তভোগী দুটি বাংলাদেশি পরিবার। সৌদি আরবে কোনো বাংলাদেশির অনুকূলে এটাই সর্বোচ্চ ‘ব্লাডমানি’ বা ‘রক্তপণের’ বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ আদায় বলে জানিয়েছে দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর মধ্যস্থতায় এই ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করা হয়েছে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানায়, ২০১৯ সালে রিয়াদে খুন হওয়া একটি বাসার গৃহকর্মী আবিরন বেগমের পরিবারের জন্য পাঠানো হয়েছে ৪৮ লাখ ৮০ হাজার রিয়াল। ২০০৬ সালে নিহত সাগর পাটোয়ারীর পরিবার পাবে ৫১ লাখ সৌদি রিয়াল।
খুলনার পাইকগাছার গৃহকর্মী আবিরন বেগম ২০১৯ সালে ২৪ মার্চ রিয়াদের আজিজিয়ায় নিয়োগকর্তার বাসভবনে হত্যার শিকার হন। গৃহকর্ত্রী আয়েশা আল জিজানীকে ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন আদালত। গৃহকর্তা বাসেম সালেম সগির এবং তাঁর ছেলে ওয়ালিদ বাসেম সালেমকে ৩৮ মাসের জেল দেন। আপিলেও সাজা বহাল রাখেন আদালত।
আয়েশা ৪৮ লাখ ৮০ হাজার সৌদি রিয়ালের বিনিময়ে আবিরণের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আবিরণের পরিবার এতে সম্মত হয়েছে।
এদিকে কুমিল্লার বরুড়ার সাগর ২০০৬ সালের ২৭ জুন অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন। দীর্ঘসময় তাঁর খুনিকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইং প্রতিনিধি থানায় পরিদর্শনকালে জানতে পারে সেখানে চুরির মামলায় সৌদি নাগরিক উমর আল শাম্মেরি আটক আছেন। যিনি সাগর হত্যা মামলার সন্দেহভাজন। ২০২১ সালের ২৪ মার্চ উমর আল শাম্মেরিকে শিরশ্ছেদের রায় আসে।
এরপর তাঁর বাবা অর্থের বিনিময়ে মৃত্যুদণ্ডের দাবি প্রত্যাহারে আপোস প্রস্তাব করেন। তখন রাষ্ট্রদূতের মধ্যস্থতায় ৫১ লাখ রিয়ালে তাতে সম্মতি দেয় সাগরের পরিবার।