বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ে ৩০ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
সপ্তাহ কয়েক ধরেই উত্তর কোরিয়া বানভাসি। বন্যার কবলে পড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত। বন্যা ও ভূমিধস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে দেশটির ৩০ জন কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশটির নেতা কিম জং-উন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগও ছিল। গত মাসের শেষের দিকে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
দেশটির স্থানীয় টিভির খবর অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বন্যার কারণে প্রাণহানির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার এই দুর্যোগে প্রায় ১০০০ মানুষ মারা যান বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
উত্তর কোরিয়ার সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, শাস্তি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ২০১৯ সাল থেকে চাগাং প্রদেশের প্রাদেশিক পার্টি কমিটির সেক্রেটারি কাং বং-হুন একজন। তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে, জুলাই মাসে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তর কোরিয়ায় বন্যা ও ভূমিধস হয়। এতে ৪০০০ টিরও বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ১৫০০০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়। কিম জং উন নিজে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান বন্যায় সম্পূর্ণরূপে প্লাবিত এলাকাগুলো সারাতে কয়েক মাস সময় লাগবে। এ সময় নারী, শিশু, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার কথাও জানান উন।
এদিকে, বন্যা ও ভূমিধসে এত বেশি মানুষ মারা যাওয়ার খবর অস্বীকার করেছেন কিং জং-উন। তিনি একে মিথ্যা গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার আন্তর্জাতিক খ্যাতি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে দক্ষিণ কোরিয়া এই অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এক প্রতিবেদনে কোরিয়া টাইমস জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারীর পর থেকে উত্তর কোরিয়ায় মৃত্যুদণ্ড নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। মহামারীর আগে, দেশটিতে সাধারণত প্রতি বছর প্রায় ১০ জনের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা ঘটত। এখন এই সংখ্যা ১০০তে দাঁড়িয়েছে বলে জানানো হয়।