নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধস, নিহত অন্তত ১১২
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নেপালে দেশজুড়ে ভয়াবহ বন্যা এবং ভূমিধস দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া এই দুর্যোগে নিখোঁজ রয়েছেন ৩৮ জন। খবর দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ৯৯ জনের মৃত্যু, ৬৮ জন নিখোঁজ এবং ১০০ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে, দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের স্থানীয় সংবাদদাতাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং নেপাল পুলিশ ও সশস্ত্র পুলিশ সদর দপ্তরের নিশ্চিতকৃত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারাদেশে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ললিতপুরে কমপক্ষে ২০ জন, ধাদিঙে ১৫ জন, কাভ্রেতে ৩৪ জন, কাঠমান্ডুতে ১২ জন, মাকাওয়ানপুরে ৭ জন, ভক্তপুর ও পাঞ্চথারে ৫ জন করে, সিন্ধুপালচকে ৪ জন, দোলাখায় ৩ জন, ধংকুটা ও সোলুখুম্বুতে ২ জন করে এবং রামেচাপ, মহোতরি ও সুনসারিতে ১ জন করে নিহত হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পাঞ্চথার, ঝাপা, মহোতরি, কাঠমাণ্ডু, ললিতপুর, কাভ্রে, সিন্ধুলি, ধাদিং, সিন্ধুপালচক, দোলাখা ও রুপেন্দহি জেলায় অন্তত ৬৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
বন্যা ও ভূমিধসের জেরে পার্বত্য দেশটির অনেক অংশে মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়েছে। শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। চাপা পড়েছে বা ভেসে গেছে শত শত বাড়ি ও সেতু। অনেক মহাসড়ক এবং রাস্তার চলাচল ব্যাহত হয়েছে। সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন।
বন্যা ও ভূমিধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নেপালের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলো। কাঠমান্ডু উপত্যকায় কমপক্ষে ৩৭ জন মারা যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতিও বিশাল।
রাজধানী কাঠমান্ডুর সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সংযোগকারী সমস্ত মহাসড়ক এবং সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।