শুল্ক কমানোর পরও বাড়ল খেজুরের দাম
আমদানি শুল্ক কমলেও খেজুরের দাম বেড়েছে। মানের উপর নির্ভর করে কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। সস্তা জাহেদী খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজিতে।
এদিকে, বাজারে চিনি, ভোজ্য তেলও বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেশি দামে। পেঁয়াজের দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা পর্যন্ত।
এর আগে, আসন্ন রমজানে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে খেজুর, চিনিসহ চার পণ্যের শুল্ক কর কমায় সরকার। কিন্তু বাজারে এর কোনো প্রভাব লক্ষ করা যায়নি।
আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমলেও গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছর খেজুরের দাম মানভেদে বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ।
জাহেদী খেজুরের দাম কেজি ২৫০ টাকা, দাবাস ৪৫০, সুক্কারি, কালমি, মরিয়ম বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা দরে।
এছাড়া বাজারে খোলা চিনির কেজি ১৪০ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের লিটারও ১৫৫ টাকা।
এদিকে, রাজধানীর বাজারে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, মুরিকাটা পেঁয়াজ শেষ হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমেছে।
পণ্যের অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণের সরকারের কঠোর পদক্ষেপের দাবি ভোক্তাদের সংগঠন-ক্যাব।
সংগঠনটির সহ সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমদানিকারক অথবা উৎপাদক হোলসেল ডিস্ট্রিবিউটার বা পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতা এই তিনটা টায়ারে সমন্বিতভাবে নজরদারি দরকার। পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে বলে যে আমি তো বেশি দামে কিনেছি।’
এদিকে, আবারো বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত।