যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে 'টিকটক' নিষিদ্ধ হলো

যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধের আইন বহাল রেখেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। স্থানীয় সময় শুক্রবার এ বিষয়ে একটি রায় দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত।
মার্কিন আইনপ্রণেতারা গত বছরের এপ্রিলে একটি আইন পাস করেছিলেন, যেখানে টিকটককে শর্ত দেওয়া হয়েছিল যে, তাদের চীনের পেরেন্ট কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এটি হুমকি হিসেবে দেখা হয়েছিল এবং ওই আইনের আওতায় ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি থেকে অ্যাপটি নিষিদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। তবে যদি তারা পেরেন্ট কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ পাবে।
আইনটি স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব গ্রহণের পর এ বিষয়ে একটি 'রাজনৈতিক সমাধানে' পৌঁছানোর জন্য সময় দেয়া উচিত। তবে সুপ্রিম কোর্ট তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে রায় দিয়েছে যে, গত বছর কংগ্রেসে পাস হওয়া এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত আইনটি সংবিধান লঙ্ঘন করেনি।
জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে আদালত জানায়, চীন দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। টিকটক ও বাইটড্যান্সের চ্যালেঞ্জের মুখে ডিসেম্বরে নিম্ন আদালতের রায়ও আইনটির পক্ষে ছিল।
এদিকে, টিকটক জানিয়েছে যে, যদি বিক্রির শেষ সময়সীমা বাড়ানো না হয়, তারা রোববার থেকে অ্যাপটি বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গুগল, অ্যাপলসহ টিকটকের সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর ভূমিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে, টিকটক বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ এবং এটি বিশেষভাবে পশ্চিমা দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ১৭ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে।