বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে যেসব সমস্যা পেলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর তিনি দেশের ৫৫টি ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন সমস্যা খুঁজে পান। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন।
এবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে নানা সমস্যা চোখে পড়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর।
বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। যেটি ব্যবহার করে থাকে ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন।
তবে এই স্টেডিয়ামের বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করে আসছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বিশেষ করে পানি ছিটানোর পদ্বতি।
এদিনও নতুন মন্ত্রীর সামনে একই অভিযোগ তোলে তারা। বাফুফের দাবি স্প্রিংলার বদলে পপ-আপ সিস্টেমে পানি দেয়ার। এতে কোটি টাকা পুনরায় ব্যয় প্রয়োজন। এজন্য আবার নতুন অনুমোদন প্রয়োজন।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এটা নতুন স্থাপনা, সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে আমরা আর বিলম্ব করতে চাই না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করতে চাই। এর মধ্যে যতটুকু সমাধান করা যায় করা হবে। না হলে নেই, কারণ এটা নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণাধীন স্টেডিয়ামের সংস্কার তাই অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়তো নয়।
গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান, কম্পিটিশন ম্যানেজার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ-মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সামনে জোরালো দাবি জানিয়েছে বিদ্যমান পানি ছেটানোর পদ্ধতিকে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.মহিউদ্দিন আহমেদ আবার ফেডারেশনেক কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন এত বিলম্বে দৃষ্টি আকর্ষণ করায়।
প্রতিটি স্টেডিয়ামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ মিডিয়া বক্স। নতুন সংস্কারে বক্সের মধ্যে বেশ কয়েকটি পিলার দৃশ্যমান। ইলেকট্রনিক ক্যামেরাম্যানদের জন্য বিশেষ জায়গা না থাকা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে ক্রীড়া মন্ত্রীর কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, এখানে এসে যা দেখলাম মূলত দু’টি সমস্যা। একটি স্প্রিংলার (মাঠে পানি দেওয়ার মাধ্যম) আরেকটি মিডিয়া বক্স। সমস্যা টা বুঝলাম। সমস্যা আছে অস্বীকার করার পথ নেই। সমাধানের পথ আছে কিনা দেখব, সম্ভব হলে অবশ্যই করব। তবে খুব একটা অসম্ভব বলে মনে হয় না।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে ২০২১ সালের আগস্টের পর থেকে। আড়াই বছর পর এসে ফেডারেশন-এনএসসি পারস্পরিক ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে। তাই কাজ না দেখে সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না পাপন।
পাপন বলেন, কারো সঙ্গে কথা না বলে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কারণ কথা বলতে গেলে, এনএসসি, কনসালটেন্ট এবং ফেডারেশনের মধ্যে কারো উপরে পড়বে। তাই ডকুমেন্ট না দেখে মন্তব্য করা যাবে না। যে সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করা।
স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে পাপন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক অফিস পরিদর্শন করে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিসিবির প্রধান কার্যালয় ছিল। এই অফিস থেকে বাংলাদেশের টেস্ট-ওয়ানডে প্রাপ্তি সহ অনেক ইতিহাসের জন্ম। বিসিবির পুরনো অফিস ঘুরে দেখান ক্রীড়া সাংবাদিকরা। বিসিবির সাবেক কার্যালয় এখন ক্রীড়া লেখক সমিতির নতুন অফিস।