বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমবাজার খুলে দিলো মালদ্বীপ
বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল দেশ মালদ্বীপ। এটি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারগুলোর একটি। চার বছর বন্ধ থাকার পর নতুন করে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার খুলে দিয়েছে দেশটি। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এই ঘোষণার ফলে দক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিকরা দেশটিতে বৈধ পথে যেতে পারবেন। তবে অদক্ষ শ্রমিক আসা আপাতত স্থগিত থাকবে।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা মোকাবিলায় এক বছরের জন্য বাংলাদেশি শ্রমিক আনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু বছরের পর বছর এটি বাড়িয়েছে সরকার। তবে নতুন সরকার গঠনের পর এই নিষেধাজ্ঞা আর বাড়ানো হচ্ছে না। ফলে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দেশটির শ্রমবাজার উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য।
আগের সরকারের অর্থনৈতিক মন্ত্রী ফাইয়াজ ইসমাইল বলেছিলেন, মালদ্বীপের আইন অনুযায়ী বিদেশি রাষ্ট্রের এক লাখের বেশি শ্রমিক থাকার কথা। ২০১৯ সালের গণনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশের দেড় লাখ শ্রমিক মালদ্বীপে আছে।
বিষয়টি উল্লেখ করে মন্ত্রী তখন বলেছিলেন, কোটা শেষ হয়ে গেছে এবং বাংলাদেশ থেকে আর লোক আনা সম্ভব হবে না। তখন আরও জানানো হয়, কাজের ভিসায় ১ লাখ ১৪ হাজার ৬০৭ জন শ্রম ভিসায় মালদ্বীপে প্রবেশ করেছে, যাদের মধ্যে ৬৩ হাজার অবৈধভাবে বসবাস করছে।
বাংলাদেশি শ্রম নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারত, শ্রীলঙ্কা নেপাল ও অন্যান্য দেশ থেকে শ্রমিক উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে মালদ্বীপে। এদিকে, অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা মোকাবিলায় ইমিগ্রেশন এখন বড় ধরনের অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যার দ্রুত সমাধান খুঁজতে অভিযান শুরু করেছে ইমিগ্রেশন। এর মধ্যে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশের প্রায় ১৫০ জন শ্রমিককে আটক করেছে।