আওয়ামী লীগ প্রশ্নে জিরো টলারেন্স
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে দেশব্যাপী চলমান আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে ১৯টি ছাত্র সংগঠনের জরুরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা জাতীয় সংকটের মোকাবিলায় এবং গণঅভ্যুত্থান সুরক্ষায় একযোগে লড়াই করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সভায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:
১. জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ: আগামী এক সপ্তাহ দেশব্যাপী "জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ" পালন করা হবে। সকল ছাত্র সংগঠন এই সপ্তাহে জোরালো ভূমিকা পালন করবে।
২. আওয়ামী লীগ সম্পর্কে জিরো টলারেন্স: আওয়ামী লীগ সম্পর্কে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। গত তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার এবং প্রশাসনকে আওয়ামী মুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।
৩. ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়: ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীদের দাবি-দাওয়া এবং তাদের যড়যন্ত্র থেকে মুক্ত রাখার জন্য কমিউনিটি ক্যাম্পেইন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী সভায় ছাত্র রাজনীতির রূপরেখা, রাষ্ট্র পুনর্গঠন এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর ঐক্যের বিষয়ে আলোচনা হবে। আলোচনা সভা শেষে নেতৃবৃন্দ সংকট মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের (নুর) সভাপতি মোল্লা ইয়ামিন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কাউসার আহমাদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।