মমতাজকে রুখতে লড়বেন জেলা আ.লীগের ৫ নেতা
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি মমতাজ বেগমকে রুখতে মানিকগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ৫ নেতা। এদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুসহ আওয়ামী লীগের পৃথক ৫ জন ডাকসাইটের নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
দলটির ওই ৫ হেভিওয়েট নেতা ভোটের ময়দানে ব্যালটে প্রতিপক্ষ হয়ে আটঘাট বেঁধে নেমেছেন। উপজেলাসহ জেলার অনেক বর্ষীয়াণ নেতা মমতাজ বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। সিংগাইর উপজেলা পরিষদের দুই বারের বিপুল ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচন করতে চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
জানা যায়, মমতাজের সবচেয়ে শক্ত প্রতিপক্ষ হচ্ছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মানিকগঞ্জ জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। তাকে নিয়ে মমতাজের মহাটেনশন! ইতোমধ্যে সিংগাইর উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ হরিরামপুরের অধিকাংশ চেয়ারম্যান একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন।
এদিকে দলের ত্যাগী নেতা দেশবরেণ্য ফুটবলার আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, সাবেক এমপি সামসুদ্দিন আহমেদের ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ সারোয়ার আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এছাড়া হরিরামপুরের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমান প্রকাশ্যে ঘোষণঅ দিয়ে এমপি মমতাজের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।