এক বছরে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ৭ হাজার

  নিজস্ব প্রতিবেদক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:১১, শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪, ১ চৈত্র ১৪৩০

প্রায় দুইবছর ধরে দেশে ডলার সংকট রয়েছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংক খাত ভুগছে তারল্য সংকটে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও খাতটিতে বাড়ছে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা।

দেশে ২০২৩ সালে ব্যাংকে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে। যদিও এ বছর কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কম ছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে দেশে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ৬ হাজার ৯৬২টি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০৮টিতে।

হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে কোটিপাতি অ্যাকাউন্ট বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। তবে ২০২২ সালে এ হার ছিল ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে এ বছর কোটিপতি হিসাবধারী বৃদ্ধির হার আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কম ছিল।

এ বিষয়ে ব্যাংকাররা বলছেন, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেকেই ব্যবসায় লোকসান করেছেন। বাধ্য হয়ে ব্যবসা ছোট অথবা কেউ কেউ ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে নানা সংকট আর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জাঁতাকলে পিষ্ট নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। সাধারণ মানুষ সংসারের ব্যয় মেটাতে পারছেন না। ছোট ছোট অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করতে পারছে না। ব্যাংকে টাকা জমানো তো দূরের কথা, অনেকে উল্টো সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন।

ব্যাংকাররা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতেও সমাজের একশ্রেণির মানুষের আয় বেড়েছে, যা সমাজে বৈষম্যের প্রতিফলন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর শেষে মোট ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩৫ কোটি। এসব অ্যাকাউন্টে মোট আমানতের পরিমাণ ১৭ দশমিক ৪৯ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০৮টি অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকার বেশি জমা রয়েছে। গত সেপ্টেম্বর শেষে কোটিপতি অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫টি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে ব্যাংকে কোটিপতি হিসাব ছিল মাত্র ৫টি। ১৯৭৫ সালে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৭টিতে। এরপর তা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৮ সালে ১৯ হাজার ১৬৩টিতে উন্নীত হয়।

ফেব্রুয়ারিতে এনবিআরের সঙ্গে প্রাক-বাজেট বৈঠকে অর্থনীতি সমিতি জানায়, দেশে মাত্র ১৮ লাখ মানুষ কর দেন। তাদের মধ্যে ১০ লাখ সরকারি চাকরিজীবী এবং অন্যান্য চাকরিতে নিয়োজিত আছেন। অর্থনীতি সমিতির হিসাবে, দেশে ধনী ও উচ্চমধ্যবিত্তদের মধ্যে আয়কর দেওয়া লোকের সংখ্যা ৯-১০ লাখ হবে। কিন্তু এই সংখ্যা হওয়ার কথা ৭৮ লাখ। এর মানে ধনী ও উচ্চমধ্যবিত্তদের ৮৭ শতাংশই কোনো ধরনের আয়কর দেন না।

বৈঠকে অর্থনীতি সমিতি আরও জানায়, এনবিআর কখনোই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না। আইএমফের ঋণের শর্তের মধ্যে অন্যতম হলো রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং কর প্রশাসনের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি। কিন্তু চলতি অর্থবছরেও এনবিআর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা কমানোয় এখন তা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

Share This Article

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির নেতৃত্বে রিলায়ান্স ওয়ান দ্যা ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়ান্স ইন্সুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড

সাপ্তাহিক দর পতনের নেতৃত্বে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক

সাপ্তাহিক লেনদেনের নেতৃত্বে ইজেনারেশন লিমিটেড

বৃহস্পতিবার ব্লক মার্কেটে লেনদেনের নেতৃত্বে ন্যাশনাল ব্যাংক

বৃহস্পতিবার দর পতনের নেতৃত্বে সোনালী পেপার

বৃহস্পতিবার দর বৃদ্ধির নেতৃত্বে এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড

বৃহস্পতিবার লেনদেনের নেতৃত্বে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ

ডলার কারসাজিতে চ্যাম্পিয়ন পূবালী ব্যাংক

যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, তাদের মুখোশ খোলার সময় এসেছে: মোদি

শ্রমিকরা ঈদ বোনাস কবে পাবেন, জানালেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী


বুধবার ব্লক মার্কেটে লেনদেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্টিল

বুধবার দর পতনের নেতৃত্বে বে লিজিং

বুধবার দর বৃদ্ধির নেতৃত্বে রিলায়ান্স ওয়ার দ্যা ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়ান্স ইন্সুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড

বুধবার লেনদেনের নেতৃত্বে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ

ফাইল ফটো

ভারতীয় পত্রিকায় রিজার্ভ চুরির সংবাদ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের না

মঙ্গলবার ব্লক মার্কেটে লেনদেনের নেতৃত্বে সোনালী আঁশ

মঙ্গলবার দর পতনের নেতৃত্বে ইউনিয়ন ইন্সুরেন্স

মঙ্গলবার দর বৃদ্ধির নেতৃত্বে রিলায়ান্স ওয়ান দ্যা ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়ান্স ইন্সুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড

মঙ্গলবার লেনদেনের নেতৃত্বে ইজেনারেশন

সোমবার ব্লক মার্কেটে লেনদেনের নেতৃত্বে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স

সোমবার দর পতনের নেতৃত্বে আরামিট লিমিটেড

সোমবার দর বৃদ্ধির নেতৃত্বে পূরবী জেনারেল ইন্সুরেন্স